হুমকিতে সেতু ও রাস্তা জনদূর্ভোগ বাড়াতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা স্থানীয়দের
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাংগাইল সদর উপজেলার কাতুলী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান মো: সুমন আহমেদের নিয়ন্ত্রণে ৪নংওয়ার্ডের ধলেশ্বরী নদীর ভূগর্ভ কাতুলী মৌজা থেকে প্রতি রাতে ও দিনে বেকু দিয়ে বালু-মাটি কেটে চুরি করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের মাঝে।
সুত্র জানায়, বিআরটিএর চোখ ফাকি দিয়ে অনুমোদনবিহীণ অবিরত বালুবাহী টফিট্রাক্টর রাস্তা দিয়ে চলাচলের ফলে ইউপির টিআর কাবিখার প্রকল্পের রাস্তাগুলো ও ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত সেতুটি হুমকিতে পড়েছে যা অকেজো হয়ে পড়ায় জনদূভোর্গ বাড়ছে। প্রতিনিয়ত একাধিক বালুবাহী ট্রাক ও ট্রাক্টর রাস্তাগুলোতে চলাচলে ধুলায় অন্ধকার পরিবেশের সৃষ্টি করে । এতে পথচারীরা যেমন স্বাস্থ্য ঝুকির শিকার হন তেমনি সড়ক দূর্ঘটনায় অকালে ঝড়ছে প্রাণ।
শুধুমাত্র বেপরোয়া বালুদস্যুদের সুবিধার জন্য অচল হয়ে যাচ্ছে এখানকার পরিবেশ,রাস্তা-ঘাট, বিলীণ হচ্ছে নদীর দু’পাড় । বর্ষার পূর্বেই বসতভিটা ধ্বসে ভূ-গর্ভে পতিত হবে । ধলেশ্বরী নদীর সরকারী সম্পত্তির বালু-মাটি কেটে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বালুদস্যুরা। সরকারী বালু-মাটি হচ্ছে হরিলুট। ইউপিবাসীরা জানান, বালুদস্যুদের ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে ভূমিকা রাখতে হবে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, কাতুলী ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন একাধিক টফি ট্রাক্টর ভাড়া এনে ওই নদীর বালু সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান সুমনের নিয়ন্ত্রণে অবৈধভাবে বেকু দিয়ে উত্তোলন করে বিক্রি করছে। তোরাপগন্জ বাজার হতে সাখাওয়াত মেম্বার নিজে ওই ড্রাইভারদের কাছ থেকে প্রতিটি বালুবাহী ট্রাক্টরের স্লিপ গ্রহণ করতে দেখা গেছে।
বিশ্বস্ত সূত্র আরও জানায়, চৌবাড়িয়া গ্রামের আলতাফ দেওয়ানের পুত্র উজ্জল দেওয়ান ও তাদের স্বজন সুজন দেওয়ানের কয়েকটি টফি ট্রাক্টর ওই বালু বিক্রির কাজে রাতে রাস্তায় অবিরত চলাচল করতে দেখা গেছে। বালু বিক্রি করে অল্প সময়ে বেশি লাভবান হয়। এজন্য তারা টফি ট্রাক্টর ভাড়ায় নিয়ে আসে। দিনে প্রশাসনের ভয়ে তারা রাতে বেকু দিয়ে বালু-মাটি কেটে বিক্রি করতো। বর্তমানে প্রকাশ্যে উত্তোলণ করছে নদীর বালু-মাটি এবং ধুমচে বিক্রি করছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
এ ব্যাপারে কাতুলী ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য সাখাওয়াত হোসেনএর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমরা সাবেক চেয়ারম্যান মো: সুমন দেওয়ানের কাছ থেকে বালু-মাটি ক্রয় করে বিক্রি করছি।
টফি ট্রাক্টরে বালু বিক্রি করতে প্রতিবেশি ইউনিয়ন দাইন্যাতেও দেখা গেছে সাখাওয়াত মেম্বারের লোকজনদেরকে। ওই দিনই টাংগাইল এসি ল্যান্ডের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত ছিল। টের পেয়ে বালুবাহী টফি ট্রাক্টর তাৎক্ষণিক পালাতে সক্ষম হয়।
কাতুলী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান সুমন আহমেদ জানান, বিক্রি করছি সাংবাদিক ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই।
এ ব্যাপারে টাংগাইল সদর ভূমি সহকারী এর সাথে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমি বিষয়টি জানতে পারলাম। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
অধিকাংশ ইউপিবাসী জানান, গণমাধ্যমের মাধ্যমে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছি। যাতে তারা ওই বালুদস্যুদের কঠোর হস্তে দমন করে। এজন্য তাদের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করছি । যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কারণ আমরা সহজ-সরল ইউপিবাসী বেপরোয়া বালুদস্যুদের নিষেধ করলে ওরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে। এজন্য উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরী।
টাংগাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে এ ব্যাপারে প্রশ্নকালে জানান, বিষয়টি বন্ধের জন্য এসি ল্যান্ড মহোদয় আমাদের কাছে পুলিশ চাইলে আমরা পর্যাপ্তভাবে তাৎক্ষণিক মোতায়েন করব, যাতে অভিযান সফলতা পায়।