করটিয়া ইউনিয়নে প্রথম সাড়িতে সাবেক জি,এস কামরুজ্জামান রিপন 


লাবু খন্দকারঃ স্বনামধন্য জমিদার পন্নী অধ্যুষিত ইউনিয়ন করটিয়ার সময়ের সাহসী ব্যক্তিত্ব চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে জনপ্রিয়তায় ও যোগ্যতার মাপকাঠিতে প্রথম সাড়িতে রয়েছেন সরকারি সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক জি,এস কামরুজ্জামান রিপন। সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান রিপন সা’দত বাজার করটিয়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ইতিপূর্বে বিপুল ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন।
ফের সদ্য নির্বাচিত ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে সভাপতি হয়েছেন করটিয়া বাজারের। বিপ্লবী এই ছাত্রনেতা ১৯৮৬সালে করটিয়া সরকারি সা’দত বিশ্ববিদ্যালয়  কলেজের ছাত্ররাজনীতিতে  ওই সময়ের ভি, পি জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের হাত ধরে রাজনীতিতে অংশগ্রহন করেন।
তিনি ১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী গণ-আন্দোলনে করটিয়া সরকারি সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সকল নেতা-কর্মীদের  সংগঠিত করে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেন।
তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলাধীন “বঙ্গের আলীগড়” খ্যাত করটিয়া সরকারি সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচনে(১৯৯৬-১৯৯৭ শিক্ষাবর্ষ) ‘ সোহেল- রিপন-সুজয় পরিষদে বিজয়ী হয়ে সাধারণ সম্পাদক (জি,এস) নির্বাচিত হন।
তিনি একাধারে টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক, টাঙ্গাইল জেলা তাঁতী লীগের সম্পাদক। 
সফল সাবেক এই  ছাত্রনেতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শেররাজনীতির চেতনায় বিশ্বাসী   ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পরিবারের সন্তান।
তার চাচা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম জিয়াদ আল-মালুম, যিনি মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার একজন প্রসিকিউটর ছিলেন।
সাবেক জি,এস রিপন করটিয়াতে  তার পিতা আল-আমিন জিয়াদ, মাতা মিনা বেগম চৌধুরী ও সকলের  মুখে হাসি ফুটিয়ে ৩১ডিসেম্বর ১৯৭১ খ্রি. এ ধরায় আগমন ঘটে। 
একজন সফল ব্যক্তিত্বের অধিকারী কামরুজ্জামান রিপন ও অতি পরিচিত মুখ। রোমানা জিন্নাতের সাথে শুভ পরিণয় ঘটে। সংসার জীবন অত্যন্ত সুখের। 
সাবেক জি,এস কামরুজ্জামান রিপন জানান,প্রতিজন ব্যক্তিই তাঁর কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকেসমাজে। আমি মানুষের ভালোবাসা পেয়ে তাদের মাঝে বড় হয়েছি। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে নিজেকে নিয়োজিত রাখি, এজন্যতারা আমাকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে ছাত্র রাজনীতিতে জি,এস,  বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতিতে দু’বার সভাপতি নির্বাচিত করেছেন। শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা ও তাঁতী লীগের নেতাও বানিয়েছেন। এ তো আমার বড় পাওয়া। আমি নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে আল্লাহর রহমতে করটিয়া ইউনিয়নের মানুষের ভালোবাসা ও টাঙ্গাইলের মানুষের মাঝে রয়েছি।আমার রাজনীতির গুরু সংসদ সদস্য টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) এ্যাডভোকেটজোয়াহেরুল ইসলাম (সাবেক ভি,পি)আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়াকালে অবশ্যই আমার কথা বিবেচনায় রাখবেন, এটা আমার আত্মবিশ্বাস। জেলা আওয়ামী লীগের সফল সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক আমার শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। করটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ভালোবাসায় আমি করটিয়া ইউনিয়নকে ঢেলে সাজাতে চাই। কেননা,  করটিয়ার ঐতিহ্যবাহী জমিদার দানবীর ওয়াজেদ আলী খান পন্নী আমাদেরকল্যাণে অজস্র অবদান রেখে গেছেন।প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর তা জনকল্যাণে নিয়োজিত থাকবে। আমি করটিয়া ইউনিয়নবাসীর সেবক হতে চাই, এটা আমার লক্ষ্য। ইনশাল্লাহ আগামী দিনগুলো আমার সেই লক্ষ্যপূরণের দিন, জয় বাংলা,  জয় বঙ্গবন্ধু। 

ছবি সাবেক জি এস রিপন
শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *