কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ দাইন্যা ইউনিয়নেরসাবেক নেতা আবজাল হোসেন নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িতের অভিযোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃটাঙ্গাইলে কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ দাইন্যা ইউনিয়নের সাবেক নেতা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবজাল হোসেনের নিয়োগ বাণিজ্য জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। 
বাঘিল কে, কে, উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জানান, আবজালের লোকনাছির ও হারুন চাকরি দেয়ার নাম করে লাখলাখ টাকা নিয়েছে অথচ চাকরি কিংবা টাকা কিছুই পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা, এ নিয়ে এমপির সামনে বসে অনেক বিচার দিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
তিনি জানান, আমি ল্যাম ভবন ঢাকাতে আবজালের সাথে গিয়ে টাকার  বিষয়ে অনেক বিচার সালিশ করেছি। 

তাছাড়া, লাউজানা গ্রামের মিজানের স্ত্রী ও মিজান অভিযোগ করেন, আবজাল হোসেন চাকরি দেয়ার নাম করে আমাদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নিয়েছে, এখন চাকরি দিতে পারছেনা।
আবজাল হোসেন ২০০৪-৬ পর্যন্ত সভাপতি ছাত্র আন্দোলনের, ২০০৬-৮ কৃষক- শ্রমিক- জনতা লীগের দাইন্যা ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করেন,  ২০০৯সালে পিঠ বাঁচানোর জন্য  আওয়ামী লীগের যোগদান করে, ২০১১সালে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হন চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনের প্রতিদ্বন্ধী হিসেবে, ওই সময়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন আবজাল হোসেন। 
২০১৩সালে ২০শে ডিসেম্বর দাইন্যা ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনের হত্যার পর এজাহারভুক্ত আসামি হন আবজাল হোসেন। 
২০১৪সালের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করে আবজাল হোসেন ৩২শত ভোটের ব্যবধানে ফেরপরাজিত হন।
তেমনি ২০১৬সালে ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্দীতাকরে ১২শত ১২ভোটে পরাজিত হন এই আবজাল হোসেন। আবজাল হোসেন ইতিপূর্বে ছিলেন দাইন্যা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি। 
আবজাল বাহিনী টাঙ্গাইল প্রেস নামে একটি ফেক আইডি চালান বলে নজির মিলেছে। আর ওই আইডি থেকে স্পর্শকাতর ও আক্রমণাত্নক উক্তি করা হয় লাবু চেয়ারম্যানের বিপরীতে বলে প্রমাণ মিলেছে। 
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৫৭ এর ক ধারাও ২৫ এর ক ধারায় অপরাধ সংঘটিত করেছে আবজাল বাহিনী ওই সব স্পর্শকাতর উক্তি করে।
এছাড়া, আবজাল বাহিনীর আরেক সহযোগী ইউপি সদস্য মোতালেব হোসেন মাদারী ৩বছরপূর্বে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত আসামি ছিলেন।
জানা গেছে, ইউপি সদস্য মাদারী স্থানীয় সংসদসদস্যের নাম ব্যবহার করে ও তার পুত্র ছাত্রলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম রুবেল অবৈধ বাংলা ড্রেজার ব্যবহার করে ইতিপূর্বে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছে লাখলাখ টাকা। 
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাগরকে কুপানোর ঘটনায় স্থানীয় এমপির মুঠোফোন তদবীরেপুলিশ কোনো ভূমিকা নেয়না বলে সাগর ও তার পরিবার সদস্যরা অভিযোগ করেন।  
আবজাল হোসেন ও মোতালেব হোসেন মাদারীর মুঠোফোনে যোগাযোগ চেষ্টাকালে কোনোরুপ সাঁড়া পাওয়া যায়নি। 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *