অতি সাংবাদিকতা আটকের পর বেপরোয়া ফেসবুকে আক্রমণাত্নক মন্তব্য তথ্য প্রযুক্তি আইন ২৫এর ক ও ৩১/৩২ ক ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীর রশিদ আহমেদ আব্বাসী গত ১৪সেপ্টেম্বর ফজলুল হকের দায়েরকৃত অর্থআত্নসাৎ এর মামলায় গ্রেফতারের পর ফেসবুকে একাধিক পাওনাদার তার গ্রেফতারের বিষয়টি স্ট্যাটাস দেন।

তা নিয়ে রশিদ আব্বাসীর পক্ষে Ayat Rahman Id থেকে মন্তব্য করেন যে, রশিদ আব্বাসীর সম্মানহানি করতে তার গ্রেফতারের বিষয় ফেসবুকে আপলোড করা হচ্ছে। ওই Ayat Rahman উল্লেখ করেন।

রশিদ আহমেদের পক্ষ হয়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন, তা হলো- অন্যের সম্মানহানি করে ব্যবসা করা আপনার মত কথিত কিছু সাংবাদিকের কাজ। হলুদ সাংবাদিকতা,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক।

Ayat Rahman ফেক আইডি নামে এও উল্লেখ করেছেন যে, হলুদ সাংবাদিকতা বন্ধ করুন। আজেবাজে কথা বলে জন্মের পরিচয় দিতে আসবেন না।

যা আক্রমণাত্নক আই সি টি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫এর ক ধারা ও ৩১ ও ৩২ ধারায় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। 

Rashid Abbasi fb  I d তে গত ১০অক্টোবর দেখা গেল তিনি status দিয়েছেন- মুচকি হাসি, একজন মাননীয় এম,পি আমার সহকর্মীর সাথে ফোনালাপে বললেন-আমি নাকি দেড় টাকার সাংবাদিক। 

Rashid Abbasi গত ২১সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন, কখনো সখনো শুনা যেত পোষ্য,

এখন দেখছি পা চাটা সাংবাদিকের আবির্ভাব ঘটছে। যা দেশ ও জাতির জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত। 

২২সেপ্টেম্বর পোস্ট করেন, আপনি সাংবাদিক, অতএব, দালালি ছাড়েন, আপনি দালাল, সুতরাং সাংবাদিকতা আপনার মানায়না।

 কালিহাতীর আউলিয়াবাদ গ্রামে। সেলাই মেশিন বিতরণ করা নিয়ে, অনেক নিরীহ ব্যক্তিই সাংবাদিক রশিদ আব্বাসীর কাছে টাকা জমা দিয়েছে। তারা স্বপ্ন দেখেছিল, সেলাই মেশিনে অন্যদের কাপড় তৈরি করে টাকা উপার্জন করে পেটের আহার জোগাবে।নিরীহ মানুষ প্রথম অন্য মানুষদের পাইতে দেখেছে সেলাই মেশিন। কিন্তু, তা বাস্তবায়ন দ্বিতীয় ধাপে আটকে গেল।

তাদের দৃষ্টিতে  স্বপ্ন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে তাদের গ্রামের সাংবাদিক রশিদ আহমেদ আব্বাসী। 

বিস্তারিত ভুক্তভোগীদের থেকে পাওয়া আউলিয়াবাদ গ্রামের ফজলুল হক জানান, আমি আউলিয়াবাদ কলেজ পাড়ার সাংবাদিক রশিদ আহমেদ আব্বাসী ওরফে খালেকের কাছে ৫৩হাজার টাকা পাই।
কিন্তু উনি আমার টাকা দিচ্ছে না,  উল্টো আরও নানা কথা শুনিয়েছে।
নওপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক জানান, আশি হাজার টাকা আমার কাছ থেকে সুদ হিসাবে টাকা গ্রহণ করে।  ২১টি সেলাই মেশিন এর কথা বলে প্রতি জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সেলাই মেশিন দিচ্ছে না। 
তিনি জানান, প্রথম দফায় রশিদ আহমেদ আব্বাসী ওরফে খালেক সাংবাদিক বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে ৬০টির মতো সেলাই মেশিন বিতরণ করেন।  কিন্তু পরের দফায় এসে হট্রগল সৃষ্টি হলো। 
আউলিয়াবাদ গ্রামের আঃ ছাত্তার জানান,আমার কাছ থেকে সাংবাদিক খালেক ভাই ১৭ হাজার টাকার খাট ক্রয় করে নিয়েছে।দীর্ঘ দুই বছর অতিবাহিত হলেও দেয়-দিচ্ছিকরে, এখনো দেয়না।
তাকে জিজ্ঞেসকালে জানান, আমি শুনছিওই সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের সাথে ওখানকার মসজিদ ইমামের এর আগে ভুল বুঝাবুঝি হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেও বলে তিনি শুনেছেন বলে মন্তব্য করেন। 
 ইমামের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নওপাড়া গ্রামের মোঃ শামসুল জানান, সেলাই মেশিন দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে সাংবাদিক খালেক সাহেব ৩হাজার টাকা নিয়ে, সেলাই মেশিন কিংবা টাকা কোনটাই দিচ্ছে না। 
নওপাড়া গ্রামের নিপা আক্তার  জানান, সাংবাদিক খালেকের কাছে  আমার চাচা শ্বশুর টাকা পায়, তিনি পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় তাকে সাংবাদিকের ভাইয়েরা মারপিট করে হাত ভেঙ্গে ফেলে ও আরেক জনকে রক্তাক্ত জখম করে। 
আউলিয়া বাজার কল্যাণ সমিতির ও স্থানীয় হৈতেষী ব্যক্তি বর্গের সাথে আলাপকালে জানান,টাকা পায় অনেক মানুষ।  কিন্তু কারও টাকাও দেয় না অভিযুক্ত সাংবাদিক।আমাদের কথার মূল্যই নেই তার কাছে। সাংবাদিক হিসাবে নিজেকে অনেক বড় কিছু মনে করে। আর মানুষের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি করছে। পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ না করে সাংবাদিকতার নামে জাহেরি চালাচ্ছে। 


স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ লিয়াকত আলীজানান, ওই সাংবাদিক তার আচরণের মাধ্যমে বিতর্কিত করছে সাংবাদিকদের। অনেক ব্যক্তিইতার কাছে টাকা পাওয়ার  ব্যাপারে অভিযোগ করেন। কিন্তু তিনি টাকা দেয়না।
পাওনা টাকার ব্যাপারে পারখী ও নাগবাড়ী ইউনিয়নের জনগণের স্বাক্ষর ও মতামত জানতে গেলে আউলিয়াবাদ গ্রামের মোঃ লাবু মিয়া, মোঃ মুন্না ও নাহিদ বলেন, আমরা এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা। 

সাংবাদিক রশিদ আহমেদ ওরফে খালেককে প্রশ্নকালে উত্তরে জানায়, তার কাছে পাওনা টাকার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, দু’ একজনে টাকা পাবে। কিন্তু যারা টাকা পাবে তারা না এসে, অন্য ব্যক্তিগণ ঝামেলা বাড়াচ্ছে। আমিসহ আমার পরিবার সদস্য গণ নিরাপত্তা হীনতায় ভোগছি।


এ ব্যাপারে কালিহাতী আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারীরমুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান,  আমি সাংবাদিক রশিদ আহমেদ আব্বাসীকে বলেছি,আপনি পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করে দেন।এ ব্যাপারেই বলেছি। কেননা, অনেক পাওনাদার এসে আমাকে জানায়, তারা বলে,  সাংবাদিক আমাদের টাকা দেয়না। 
তাছাড়া, পাওনা টাকা চাইতে যাওয়ায় ওই সাংবাদিকের ভাইয়েরা মিলে গত ২৩জুলাই  আাউলিয়াবাদ গ্রামের দুজন পাওনাদার মোঃ আব্দুল কাদের ও মোঃ লেবু মিয়া ৫৩ হাজার টাকা চাইতে যাওয়ায় তাদেরকে রশিদ আহমেদ আব্বাসী ও তার সদস্যরা মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। 
তবে বিষয়টি কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ তোতাসহ সমাজের আরও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গমীমাংসার জন্য গেলে তারা ( আব্বাসীরা) মেনে নেননি বলে জানান। 
টাকা আত্নসাতের ব্যাপারে ওই এলাকার  নিরীহ মানুষ তথা পাওনাদাররা কালিহাতী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। 

কালিহাতী উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল মজিদ তোতা জানান,যারা টাকা পায়,  তারা ওই সাংবাদিকের কাছে চাইতেগিয়েছিল, একপর্যায়ে ঘটনার ওইদিন সাংবাদিকের ভাইয়েরা মিলে পাওনাদারদের  মারপিট করে আহত করেন। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে প্রেরণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *