উন্নয়ন এর কান্ডারি সাদেক আলী দলীয় নমিনেশন পাওয়াটা জরুরি, ইউপিবাসীর ব্যাপক জনসমর্থন
জেলা আওয়ামী লীগ গত ইউপি নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দিয়েছে
লাবু খন্দকারঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ছিলিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাদেক আলী অনিয়ম-দূর্নীতি রুখে ইউপির অবকাঠামো উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছেন।
আগামী ইউপি নির্বাচনে বৃহত্তর রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়াটা জরুরি তার জন্য।
গত ইউপি নির্বাচনে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ তাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিল।
তিনি গতবার ইউপিবাসীর বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছেন।
টাঙ্গাইল-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ ছানোয়ার হোসেনের সহযোগিতা নিয়ে তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্নকরেছেন।
ফুটবলার সাদেক আলী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিমনা।জনপ্রিয়তা অর্জন ও পরিচিতি পেয়েছেন তিনি প্রতিবেশী ইউনিয়নগুলোতেও।
ইউপিবাসীর মাঝে তিনি নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি হিসাবে বেশ বন্ধুসুলভ।
ছিলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে আলাপচারিতায় জানান,সাদেক আলী দলীয় নমিনেশন পেলে নির্বাচিত হওয়া ও বিজয়ী করা সহজ হতো।তাকে ইউপিবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট প্রদান করত।
তারা অভিযোগ করেন, গতবার জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশ উপেক্ষা করে যাকে দলীয় নমিনেশন দেওয়া হয়েছে, তিনি বিজয়ী হতে পারেনি।বিজয়ী হয়েছে সাদেক আলী। ভোট দেয় ইউপিবাসী তাদের পছন্দের প্রার্থীকে। অতএব, মনোনয়ন সাদেক আলী পাওয়ার যোগ্য।
সিদ্ধান্ত যাই আসুক, মনোনয়ন যেই পাক। ইউপিবাসী ভোট দেবে।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার জরিপ ও মনোনয়ন বোর্ড যাকে প্রথম হিসাবে বাছাই করে কেন্দ্রে প্রেরণ করে তা হতে হয়, অবশ্যই জনপ্রিয় ব্যক্তি।কেননা, গত ইউপি নির্বাচনে হাসমত আলীর ভরাডুবি ঘটে। তাহলে প্রার্থী বাছাই ক্ষেত্রে কিপ্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়াইনি?
দলীয় প্রতীক ইউপি নির্বাচন ভোটের মাঠে কতটা সুফল বয়ে আনে তা এখন পরিস্কার।
অতএব, ছিলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে আগামী দিনে জনপ্রিয় প্রার্থী দেয়া হক, এটাই তাদের প্রত্যাশা।
এদিকে, এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা ছিলিমপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীহিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে প্রার্থীদের মাঝে।
এর মধ্যে খবর পাওয়া গেছে মনোনয়ন বঞ্চিত ব্যক্তি প্রার্থী হবেনা।
তবে এ মন্তব্য খানি নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে প্রকৃত সত্য জানা যাবে।
বিএনপি’র সমর্থিত প্রার্থীও ভোটের মাঠে থাকে।এজন্য নির্বাচন হয় তীব্র প্রতিযোগিতার ও উৎসবমুখর।তবে বড় দলের মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী বিজয়ের ক্ষেত্রে কোণঠাসা হবে কি, এই সংশয় বিরাজমান।
তবে সম্প্রতি চলমান একাধিক ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবির সত্যতা মিলেছে। স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীকে ইউপিবাসী ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, বিজয়ী হয়েছে ইউপিবাসীর পছন্দের প্রার্থী।
মনোনয়ন বঞ্চিতরা হয়েছে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান।
আবার কোনো কোনো ইউপিতে নৌকা প্রতীক পাওয়া প্রার্থী হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান।
মেরুকরণ হয়েছে দু’ভাবেই। জয়, পরাজয় দুটোই প্রার্থীর হৃদয়ে ধারণ করে ভোট যুদ্ধে নামতে হয়।
এ ধাক্কায় প্রার্থীদের টিকতে লাগে ভোট, নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা ও দলীয় প্রভাবমুক্ত ইউপি নির্বাচন।
