টাঙ্গাইল কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়ন এর আওয়ামী যুবলীগের ওয়ার্ড সাবেক সভাপতি মোঃ ফুলচান মিয়া পঙ্গু হয়েও অসত্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার
এস্বাবি নিউজ রিপোর্ট : সাবেক যুবলীগ নেতা ফুলচানকে ওই গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও সুদ ব্যবসায়ীরহোতা প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে রাতের আঁধারে নির্মমভাবেকুপায়, এরপর পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয় তাকে।
প্রশ্নজাগে কি দোষ ছিল ফুলচানের?
উত্তরে স্থানীয়রা জানালেন, ফুলচান সব সময় মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ায়, যারা বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাখতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, এজন্য ওইসব বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ব্যক্তিরা রাতের আঁধারে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা করে কুপিয়ে গুরুতর জখম হয় দুটি পা, দু’হাতের তিনটি আঙ্গুল।
ওই ঘটনা সম্পর্কিত মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। অপরাধীরা জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের শুরু করেছে তাদের পুর্বের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।
সন্ত্রাসী হামলার শিকার পঙ্গু ফুলচানকে দায়েরকৃত মামলা না চালাতে ও তাদের বিরুদ্ধে যাতে আদালতে না যায়, এজন্য বিভিন্ন হুমকি, ব্যারিকেডসহ নানা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে ভুক্তভোগী ফুলচান ও তার পরিবার সদস্যরা অভিযোগ করেন।
স্থানীয়রা জানান, পাটিতাপাড়া কালিবাড়ী মরাপোড়া বাজারে বর্তমানে ইলেকট্রিক সামগ্রী দোকান চালায় ফুলচান। এজন্য তাকে দোকানের সামনে এসে নানা ধরনের অকট্র গালিগালাজ করতে দেখা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফুলচানকেনিয়ে নানা কুরুচিপূর্ণ ও মিথ্যা মন্তব্য করেন ওই দুষ্কৃতকারীরা বলে নজির মিলেছে। যা রীতিমতো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৫৭এর ক ৩১(১)/৩২(১) ধারায় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। আক্রমণাত্নক ও মাণহাণিকর উক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করার লিখিত অভিযোগে প্রেক্ষিতে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা গ্রেফতার হতে পারেন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ চেষ্টাকালে তাদের দেখা মিলেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, এই গ্রামে শান্তি শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সজাগ ভূমিকা পালন জরুরি।
নানা অপরাধ ও মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে এই বাহিনী। এদের কঠোর হস্তে দমন করতে সচেতন এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
