নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঘাটাইল দেওপাড়া করিমের পাড়া গ্রামের সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য হেপি খাতুনেরপ্রতারণামূলক প্রেমের তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায়, প্রতিবেশী ফারুক এর সাথে হেপি খাতুনের দীর্ঘ বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন ফারুক হেপির সাথে সম্পর্কে টানাপোড়েন পড়ে তখনইউদ্দেশ্য প্রণোদিত ফারুক এর পিতার নামে মামলা দায়ের করে হেপি খাতুন। আর এরপরই আদালতের নির্দেশে হেপির প্রেমিক ফারুক এর পিতাকে টাঙ্গাইল কারাগারে অবস্থান করতে হয়।
মীমাংসার সুত্র ধরে ও হেপির সাথে ফারুক এর সম্পর্ক পুণরায় জড়ানোর ইচ্ছা পোষণ করে বলে মামলা নিষ্পত্তির আশ্বাস মেলে বলে সুত্র জানায়।
ফারুক জানায়, ‘আমার সাথে দীর্ঘ ১৬বছর যাবত হেপির সাথে সম্পর্ক। মাঝখানে ওর সাথে একটু খারাপ আচরণ করায় এমন করেছে। এখন শীঘ্রই আমরা বিয়ের পিঁড়িতে বসব।
ওই গেপ এর সময় হেপি আরেক জনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বলে অভিযোগ করেন ফারুক। তবে এখন দু’জনের মাঝে গভীর সম্পর্কও বলে স্বীকার করেন। ‘
তবে হেপি খাতুন জানান, ‘ফারুক এর সাথে আমার সম্পর্ক এটা ঠিক। তবে ফারুক এর পিতার নামে টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা দিয়েছি।’
জানা যায়, ফারুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক ভিন্ন আইডি ও হেপি খাতুন jannatul naima নামক আইডি থেকে একাধিক ব্যক্তির সাথে প্রেমের মেসেজ প্রদান করার তথ্যপাওয়া গেছে।
যা প্রমান হিসাবে স্কিন সট দিয়ে ছবি হিসাবে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া,ইউপি নির্বাচনে মহিলা ইউপি সদস্য প্রার্থী হেপি খাতুন জনপ্রিয়তা না থাকা সত্বেও প্রার্থী হওয়ায় ভরাডুবি ঘটেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, হেপি খাতুন ইতিপূর্বে ইউপি সদস্য থাকাকালীন বিভিন্ন ভাতা কার্ডপাইয়ে দেয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিত।সে মামলাবাজ বিধায় তার ভাসুরদের নামে একাধিক মামলা করে, তার কারণে অধিকাংশরাই ভীত সন্ত্রস্ত থাকে। এজন্য নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় তাকে কেউ ভোট দেয়নি। তাছাড়া, তার চলাফেরা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
হেপি খাতুন ঘাটাইলে মামলাবাজ হিসাবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে নানা ব্যক্তিকে মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ নানা ধরনের অনিয়মের তথ্য রয়েছে।
তারা জানান, হেপি খাতুন এই এলাকায় প্রতারক ও ভন্ড হিসাবে পরিচিত।