টাঙ্গাইল গালা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থীরাজ কুমার মুসলিম মহিলা মেম্বার প্রার্থী জুঁটি ভোটের বিজয় না ঘটলেও ভাঙ্গছেনা তাদের জুটিবেঁধে ভোট চাওয়া
ভোটের মাঠে কপাল পোড়বে রাজ কুমার ও সুন্দরী মহিলা মেম্বার জুটি
লাবু খন্দকারঃ অসামাজিক কার্যকলাপে ও আচরণে উগ্র মেজাজী,ক্ষমতার অবমূল্যায়নকারী, ৩০বছর সদস্য থেকেও যিনি কোনো উন্নয়ন করে নাই, দুশ্চরিত্র গালা ইউনিয়ন এর রাজ কুমার ও মহিলা মেম্বার ধর্মের দিক থেকে দুজনে মুসলিম-হিন্দু হলেও সুন্দরী প্রথম থেকেই রাজকুমার এর বাড়ি রাত্রিযাপন করত। এটা গালা ইউনিয়ন এর টক অব দ্যা টপ। আলোচনায় ব্যাপক ঝড় তোলে।
দূর্ণীতি ও অনিয়মের রাজ কুমার তার পরিষদের সকল সদস্য তার বিরুদ্ধে অনিয়মের লিখিত অভিযোগ করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর। পরিষদের কোনো স্টাফ এর সাথে তার সুসম্পর্ক নেই।
তথ্য ঘেটে দেখা যায়, সরকারি অধিকাংশ প্রকল্পেই তিনি অনিয়ম করার পর দপ্তরে তাকে একাধিকবার মাফ চাওয়া ও জরিমানা দিতেহয়েছে।
দেখা গেছে, ভোটের জন্য বিভিন্ন জনকে হুমকি প্রদান ও ভোট না দিলে হাত-পা কেটে ফেলার হুমকি প্রদান করছে। আবার কখনো বলছে এক ভোট পাইলে পাস।
এ বিষয় ভোটের মাঠেও জুটি হিসেবে তেমনি।গত ইউপি নির্বাচনে ভোটে জিতেও শিখা সরকারকে হার মানতে হয়েছে ৪ভোটের ব্যবধানে রাজ কুমার এর নায়িকার কাছে।
তবে সুন্দরী (রুপক নাম) কারও প্রশ্নের সরনাপন্নহলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তার সাথে রাজ কুমার এর সম্পর্ক জীবনেও বিচ্ছেদ ঘটবে না।এর আগে তেমনি উত্তর দিয়েছে সে। এমনও বলেছে সে, রাজকুমার আমার বাপ তুল্য। যদি তাই হয়, তবে সে রাজকুমারকে দাদা ডাকে কেন? কেনইবা কাকু ডাকেনা। এটা সকলের প্রশ্ন?
হোটেলে ও রাত কাটিয়েছে সে। এমনটিও। এছাড়া, রাজকুমারও সুন্দরীরবাড়ি এসেছে এর আগে। এখন ইউপি নির্বাচন। দু’জনে চেয়ারম্যান মেম্বারহতে উঠে পড়ে লেগেছে। যে করেই হোক চেয়ারম্যান হওয়া চাই রাজ কুমার এর। নায়িকা সুন্দরী (রুপক নাম) ফের মহিলা মেম্বার হতেসর্বস্ব বিসর্জন দিচ্ছেন। কিন্তু গালা ইউনিয়ন এ এবার এই রাজ কুমার ও মালার ভোট নেই।
কারণ রাজকুমার গতবার কারচুপি করে ভোটে জিতে। এবার ভোট নাই এজন্য গতকাল শিবপুর গ্রামে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীরঅফিস ভাংচুর করে বলে তারা জানান।
ভোটে বিজয়ী হবে চেয়ারম্যান পদে নজরুল ইসলাম খানের মোটরসাইকেল প্রতীক। কেননা,মাঠে বি,এন,পির কোনো প্রার্থী নেই।
এই চেয়ারম্যান পরিষদে নানা দূর্নীতি ও অনিয়ম করেছে। বিভিন্ন কারণে মারপিট হয়েছে তার উপর ৫বার, প্রথম মারপিট করে তার পরিষদের সদস্য সুরমান রেজা, ২য়বার উপজেলা পরিষদের মিটিং এ চেয়ারম্যানরাবাকি ৩দফায় মারপিট করে সাধারণ পাবলিক।
মালা কে (রুপক নাম) নিয়ে ভালো নাম কামিয়েছেন চেয়ারম্যান, সদস্য সুরমান রেজা মন্তব্য করেন,একজন মুসলিম মহিলা ইউপি সদস্য হয়ে চেয়ারম্যান এর বাড়িতে রাতে যে ঘুম পারে, সে আর মেম্বার হতে পারবেনা, তাকে ইউপিবাসী আর ভোট দেবেনা।
তবে বিষয়গুলো উত্তর পেতে ফোন দেয়াকালে রাজকুমার ফোন রিসিভ করেননি।
চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম খান জানান,রাজকুমার আমার কর্মী-সমর্থকদের হুমকি ওতার লোকজন দিয়ে আমার অফিস ভাংচুর করছে। আমি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
গালা ইউপির অধিকাংশ ভোটার জানান, আমরাভোটের বিপ্লব ঘটাব। মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট দিয়ে অবহেলিত ইউনিয়ন নজরুল ভাই এর মাধ্যমে উন্নয়ন ঘটাতে চাই।
গালা ইউপি ঘুরে জানা যায়, রাজ কুমার সরকার দলীয় মনোনয়ন পেয়ে দাম্ভিকতা দেখাচ্ছে, মানুষকে মানুষ মনে করে না। এজন্য ইউনিয়নবাসী তাকে প্রত্যাখান করেছে।