
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ টাঙ্গাইল কালিহাতী উপজেলার শিহরাইল উত্তর পাড়ার জহিরুল ওরফে আকাশ হত্যা মামলায় অজ্ঞাত আসামীদের নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন নিহতের পরিবারবর্গ।
ঘোষণাপত্র সূত্রে জানা যায়, নিহতের বড় ভাই নুরুল ইসলাম হত্যাকান্ড সংঘটিতের সময় হামলার শিকার হন, গুরুতর আঘাত পান ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। এজন্য মামলা দায়েরকালীন সকল আসামীদের সনাক্ত করতে না পেরে ১২জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করেন।
ওই সময়ে ১০/১৫জন অজ্ঞাতনামা আসামি করেন। পরে নুরুল ইসলাম সুস্থ হওয়ার পর তার নিকট আসামিদের তথ্য পান।
তাদের ঘোষণাপত্রে উল্লেখ, নিহত জহিরুল ইসলাম আকাশ ও নুরুল ইসলাম এর শরীরে বিভিন্ন জায়গায় বাইরাইয়া রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে।
তাদের অভিযোগ, আসামিদের আঘাতের কারণেই জহিরুল ইসলাম আকাশ মৃত্যুবরণ করিয়াছে।
তারা গত ২১জুলাই নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের বিচারদাবী ও ঘোষণাপত্রে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে উল্লেখ করেন, বলিখন্ড গ্রামের মরহুম জামাল হোসেনের পুত্র একাধিক মামলার অভিযুক্ত আসামি সেলিম রেজা(৩৪), তার সহোদর নাজমুল ইসলাম(২৮), একই গ্রামের মিজানুর রহমানের পুত্র সোহান(২২), আলাউদ্দিনের পুত্র রবিন (২৪), নিখিল চন্দ্র রাজবংশীর পুত্র রাজু রাজবংশী(২২) ও গোপালপুর গ্রামের গোলামালেক এর পুত্র নাজিম উদ্দীন (২৮), মরহুম তোতা বেপারীর পুত্র মোস্তফা কামাল (৪২) ও মৃত আঃ জব্বারের পুত্র নুরুল ইসলাম (নুরিসা)।
নিহতের পিতা সাইফুল ইসলাম (৬০) অভিযোগ করেন, যারা আমার পুত্র জহিরুলকে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই।
নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম(২২) জানান, আমার ছোট ছোট দুই মেয়ে, ওদের খাওয়াবে কে, একমাত্র রোজি রোজগারের মানুষ ছিল। তাকে
ওরা খুন করছে, এর বিচার একদিন আল্লায় করব।
সন্ত্রাসী হামলায় নিহত জহিরুল ইসলাম আকাশ এর বড় ভাই নুরুল ইসলাম জানান, খুনিরা ওই
সময় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেছে, আমার ভাইকে ত ওরা মেরে ফেলেছে। ওদের বিচার চাই, ওদের ফাঁসি চাই আদালতের কাছে।
মামলাসূত্রে জানা যায়, গত ২৭মে পূর্বশত্রুতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জহিরুল ওরফে আকাশকে ও নুরুল ইসলামকে আক্রমণ করে
ফরমান বাহিনীর নির্দেশে গোপালপুর গ্রামের
মৃত মেছের আলীর পুত্র আবুল হোসেন(৪২), আফছের আলীর পুত্র ফরমান, আঃ আজিজের পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন ছোটন, মোসলেম উদ্দিনের পুত্র পাবেল(২৮) সহ ১২জন মিলে।
হামলার শিকার হওয়া জহিরুল ইসলাম আকাশ ঘটনার দিনই শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এমনকি নুরুল ইসলাম এর অবস্থা অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
হামলায় আহত ভুক্তভোগীদের প্রতিবেশী জাহিদুল ইসলাম চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তবে নুরুল ইসলাম এর দেওয়া তথ্যানুযায়ী সনাক্ত করা অভিযুক্ত আসামিদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা এ ব্যাপারে তদন্তকারী (এস, আই) আল-আমিন জানান, ‘মামলা তদন্ত চলছে, তদন্তে জড়িতদের তথ্য প্রমাণ পেলে তাদেরকে মামলায় আসামি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ‘
নোটারীর ঘোষণাপত্রে অভিযুক্ত সেলিমদের সাথে যোগাযোগ চেষ্টাকালে তাদের মতামত
নেওয়া সম্ভব হয়নি।