সাংবাদিক লাবু খন্দকারকে মিথ্যা অভিযোগে নাজেহালের পাঁয়তারা চলছে!

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সাহসী গণমাধ্যমকর্মী লাবু খন্দকারের বিরুদ্ধে  মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানি ও নাজেহাল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে কুচক্রী মহল।

সূত্র জানায়, দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের তুরস্ক প্রবাসী প্রেমিক টাঙ্গাইলের স্বনামধন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীর সাথে প্রেমঘটিত বিষয়ে মনোমালিন্য হলে প্রবাসে আত্মহত্যা করেন পাগল প্রেমিক।

এ ঘটনায় নিহতের বোন দায়ী করে অভিযুক্ত প্রেমিকাকে। 

এমণকি আত্মহত্যার বিষয়ে বিচার পেতে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলাকালে এস্বাবি নিউজ পেজ এ সাক্ষাৎকার প্রদান করেন ওই নিহতের বোন। সাক্ষাৎকার এস্বাবি নিউজ পেজ এ প্রকাশ করা হয়। 

আর এ নিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রীর  (প্রেমিকার) ভাই

টাঙ্গাইল  কর্তব্যরত বিদ্যুৎ এর পিডি নিহতের বোনকে জড়িয়ে ও গণমাধ্যমকর্মী লাবু

খন্দকার এর নাম উল্লেখ করে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার বরাবর হয়রানিমূলক লিখিত অভিযোগ করেন। 

এ নিয়ে নিহতের বোন ও লাবু খন্দকারকে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এস, আই নাফিউল জিজ্ঞাসাবাদ করে।  অভিযোগপত্রটি

মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ আনায় পুলিশী তদন্তে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসে। 

এ বিষয়ে এস, আই নাফিউল জানান, বিষয়টি তদন্ত করেছি,  লিখিত অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে 

তদন্ত করেছি। তবে প্রবাসে আত্মহত্যা করায় 

ওই পরিবারটা ক্ষতিগ্রস্ত। যিনি অভিযোগ করেছেন, তার বোনের কারণেই অভিযোগ করেছেন।

তবে এস,আই নাফিউল আরো জানান, ওইদিন 

সাংবাদিক লাবু খন্দকার এর সাথে কথা হয়েছে। তবে তিনি তার ব্যবহারের মোবাইল ফোন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণাদি রেখে চলে

যান।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মী লাবু খন্দকার জানান, 

আমার বিরুদ্ধে বরাবরই মিথ্যা অভিযোগ হয়।

ষড়যন্ত্র করে কাউকে থামিয়ে রাখা যায় না।

তদন্তে গোয়েন্দা পুলিশ এর জিজ্ঞেসকালে আমি উত্তর পর্ব শেষ করে বাড়তি মানসিক চাপে আমি

আমার মোবাইল ও প্রয়োজনীয় উপকরণাদি টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এস, আই নাফিউল এর কক্ষে রেখে চলে এসেছি। 

ওই সময় আমার বাবাকেও তারা ডেকেছিল।

আমার বাবা কথা শেষে চলে এসেছে।এটা একধরনের হয়রানি বলে দাবি করেন গণমাধ্যমকর্মী লাবু খন্দকার। এভাবে চলতে থাকলে সাংবাদিকতা পেশার উপর গণমাধ্যমকর্মীসহ সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলবে মিথ্যাবাদীদের দাপটের কাছে 

বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

তাছাড়া, ওই গণমাধ্যমকর্মীর মোবাইলসহ প্রয়োজনীয় উপকরণাদি ফেরত পাওয়া প্রসঙ্গে

অন্যান্য সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানান, টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশের এস,আই নাফিউল ওই সাংবাদিক এর 

মোবাইলসহ প্রয়োজনীয় উপকরণাদি ফেরত দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।

এছাড়া,  অভিযোগের বিষয়টি তদন্তে তথ্য – প্রমাণে কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি বলেও তিনি  জানান। 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *