

উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও মিলছে না প্রতিকার
নিজস্ব প্রতিবেদক: গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশ নিয়োগে
বয়স জালিয়াতি করে দীর্ঘ ২বছর পেরিয়ে গেলেও নিয়োগপ্রাপ্ত দুই চৌকিদার বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
জানা যায়, ওই সময়ে নিয়োগ প্রদানে বয়সসীমা
সাধারণ প্রার্থী ২০-৩০, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩২ বছর উল্লেখ থাকলে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়স বেশি।
কিন্তু তারা এ বিষয়ে বলেন আমরা জন্মনিবন্ধনের বয়স দেখিয়ে চাকরী নিয়েছি।
সুত্র জানায়, চাতুটিয়া গ্রামের কজিমউদ্দিনের
পুত্র আনসার গ্রাম পুলিশ পদে বহাল রয়েছেন।
বর্তমান ভোটার তালিকা নং ৯৩১৭৯২৫৪৩৯৫৯ ও তার জন্মতারিখ ২৪-৩-১৯৮৭।
এ সকল নিয়োগে আঁতাত করে চাতুটিয়া গ্রামের নজর আলির পুত্র শফি দালালের যোগসুত্র পাওয়া গেছে।
দেখা গেছে, চৌকিদারদের সাথে কথা বলতে গেলে এই শফি দালাল এসে স্বপক্ষে কথা বলে।
স্থানীয়রা ও একাধিক চৌকিদার জানান, আমরা গ্রাম পুলিশ পদে চাকরি নিয়েছি শফি এর মাধ্যমে।
তাদের মন্তব্য, উপজেলায় শফি’র সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে। এমণকি নিয়োগ সংক্রান্ত
ব্যাপারে ও সরকারী অসহায়দের ঘর স্বচ্ছলদের পাইয়ে দেবার ব্যাপারে তিনি সুবিধার ভাগ-বাটোয়ারায় জড়িত বলেও জানান।
প্রমাণস্বরপ, এই শফি তার পরিবারে স্বচ্ছলতা থাকা সত্বেও মায়ের নামে (সমতা বেগমের) নামে
অসহায় ব্যক্তির ঘর তার মায়ের নামে পাইয়ে দিয়েছেন। আর এই শফি সরকারি বিধি না মেনে
অসহায় এর ঘরে লাগিয়েছে থাই গ্লাস ও মেঝেতে লাগিয়েছে টাইলস।
সমতা বেগমের নামে কিভাবে ঘর পেলো? থাইগ্লাস ও টাইলস লাগানোর বিষয়ে ও চৌকিদার নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে শফি মুঠোফোনে জানান, উপজেলায় গিয়ে জানেন কিভাবে ঘর এনেছি।
তবে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা বিষয়গুলো নিয়ে একাধিকবার গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জানালে কোনো প্রতিকার পায়নি।
বরং অভিযোগকারী হয়রানীর শিকার হয়েছে বলে জানান।
এছাড়া, সম্প্রতি এ নিয়ে গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীর লিখিত অভিযোগে নোটিশ প্রেরণ করলেও বহাল তবিয়তে রয়েছে গ্রাম পুলিশ ও সরকারী ঘরে থাইগ্লাস ও মেঝেতে টাইলস।
এজন্য জেলা প্রশাসন টাঙ্গাইলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।