জমি কেনার টাকা দিয়ে বিপাকে মেয়ে ; মাকে তালাক

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আউশনারা ইউনিয়নের জালিচিরা গ্রামে পিতার নিকট থেকে জমি কিনে বিপাকে পড়েছে মেয়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই মেয়ের মাকে তালাক দিয়েছে তার পিতা। এ ঘটনায় ওই এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি আদালতে মামলা দায়ের করেছে।

মামলাার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার আউশনারা ইউনিয়নে জালিচিরা গ্রামের আজিজুল হকের সাথে প্রায় পঞ্চাশ বছর পুর্বে সাহেরা আক্তারের ত্রিশ হাজার টাকা কাবিন মুলে বিয়ে হয়। যৌতুক হিসেবে নগদ ১৪ হাজার টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণালংকার দেওয়া হয়। তাদের ঔরষে তিন কন্যা ও দুই পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করে জীবিত আছে। তিন মেয়ের মধ্যে ফরিদা আক্তারের বিয়ে হওয়ার পর থেকে পিতার জায়গায় বসবাস করে। পিতা আজিজুল হক অসচ্ছল হয়ে পড়ায় জালিচিরা মৌজায় ১২২ নং দাগে ৮০ খতিয়ানে ১৮ শতাংশ ভুমি মেয়েকে রেজিস্ট্র্রি করে দেওয়ার আশ্বাসে দুই দফায় ৬ লাখ টাকা গ্রহন করে। মেয়ে প্রবাসী স্বামীর উর্পাজিত টাকা পিতাকে বুঝিয়ে দেন। সম্প্রতি পিতা জমির টাকা গ্রহন করেও মেয়ের নামে জমি রেজিস্টি করে দিতে তালবাহানা করে। এতে প্রবাসী স্বামী ফরিদা বেগমকে জায়গা রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিতা ফরিদার মাকেও তালাক প্রদান করে।

ভুক্তভোগী ফরিদা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকেই আমি পিতার জায়গায় বাস করে আসছি। হঠাৎ আমার বাবা অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় ওই জায়গাটি বিক্রির প্রস্তাব দেন। আমার প্রবাসী স্বামী বহু কষ্টে ৬লাখ টাকা দেশে পাঠালে জমি বাবদ পিতাকে প্রদান করি। জায়গাটি রেজিস্ট্রি করার জন্য খারিজ করতেও আরো ১০ হাজার টাকা নেয়। সম্প্রতি একটি কুচক্রি মহলের মদদে পড়ে ওই জায়গাটি আমার নামে দলিল করে দিতে রাজি হচ্ছেনা। গ্রাম্যভাবে সালিশ করে সুরাহা না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি।

অভিযুক্ত পিতা আজিজুল হকের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে আউশনারা ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি নিয়ে আদালত থেকে প্রতিবেদন চাওয়া হলে উভয় পক্ষকে ডাকলে ফরিদা বেগম উপস্থিত থাকলেও তার পিতা আজিজুল হক হাজির না হওয়ায় একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *