
নিয়ন্ত্রণে ওয়াল্টন গ্রুপ ও বাদল এন্টারপ্রাইজ জানালেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা!
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার
ঘারিন্দা ইউনিয়নের বীরনাহালী ঝিনাই নদী, নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি ও বাসাইল উপজেলার কাশিল-নথখোলা ঝিনাই নদী থেকে ভারী ড্রেজার দিয়ে বালু-মাটি বিক্রি বেশ সরগরম অবস্থা।
আর এসব নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই প্রশাসনের চোখ
ফাঁকি দিয়ে বলগেট নামক দানব বালু খেকোদের প্রধান হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
নদী ভূগর্ভে বিলীন আবাদী ভূমি যাদের ওইসব ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, নথখোলা ব্রীজ হুমকিতে, আমাদের আবাদী জমি বিলীন
এসবই ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার প্রতিফল। প্রতি বছরই কেউ না কেউ এখান থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রির টাকায় আঙ্গুল ফোলে কলা গাছ হয়।
আর আমাদের ভূমিহীন দশায় পরিণত হতে হয়। নথখোলা সরকারী বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান,
আমাদের বিদ্যালয় ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সরিয়ে
নিতে বাধ্য হয়েছি। সেতুটিও হুমকিতে। বাসাইল-
টাঙ্গাইল-সখিপুর যাতায়াতের প্রধান সেতু এটি।
যা এখন হুমকিতে।
এখানে এখন বাদল এন্টারপ্রাইজ তার ভারী ড্রেজার দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে বালু উত্তোলন ও বিক্রি।
বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, এখানকার বালু-মাটি বীরনাহালী ওয়াল্টন প্রজেক্টে নেওয়া হয়। বিক্রির মহোৎসব চলছে সরকারী রাজস্ব হারাচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে বাদল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো: বাদলকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে সম্প্রতি বাসাইল উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালালেও ফের অব্যাহত রয়েছে ভারী ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ও বটতলা বাজারে চায়না কোম্পানির জায়গা ভরাট কাজ।
এ ভারী ড্রেজার সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে জানান,’ হ্যাঁ, তথ্য পেলাম, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’
এদিকে, বীরনাহালী বলগেট ভরাট করতে চলে
দিনে-রাতে হাকিমপুর-রানাগাছা-নথখোলা শ্রমিক দিয়ে নদীর পাড় কাটা আর এসব ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হয় বীরনাহালী, বাংলা ড্রেজার পাইপ দিয়ে ভরাট করা হয় ওয়াল্টন প্রজেক্টের জায়গা।
এসব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিএনপির স্থানীয় পাতি নেতা ও আরেক ড্রেজার ব্যবসায়ী গোসাই জোয়াইর গ্রামের জাহাঙ্গীর খন্দকার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওয়াল্টন কোম্পানির প্রজেক্ট ভরাট কাজ চলছে, তারা দায়বদ্ধতা না নিলেও জায়গা ভরাটের মাটি কোথা থেকে আসে তা নিয়ে বিধি-নিষেধও নাই। তাদের জায়গা ভরাট হলেই হয়। শহর রক্ষার বাঁধ বীরনাহালী হুমকিতে রয়েছে।
তারা জানান, আমাদের আবাদী ভূমি নদী গর্ভে বিলীন হয়, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ও নদীর পাড় কেটে নেয়। এতে আমাদের ক্ষতি পোষাণোর কেউ নেই।
তবে ড্রেজার ব্যবসায়ী ও নদীর পাড় কেটে ভরাট কাজে জড়িত জাহাঙ্গীর খন্দকারকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে
তিনি জানান, দেখি, প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিচ্ছি।
তবে ওয়াল্টন কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
একটি সুত্র জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, বলগেট এ বালু-মাটি নদীর পাড় কেটে ভরাট এর বিরুদ্ধে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।