বাসাইলে নামজারিতে ঘুষ বাণিজ্যের

বাসাইলে নামজারিতে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ! নিজস্ব প্রতিবেদক:  টাঙ্গাইল বাসাইল উপজেলা সহকারী ভূমি অফিস কার্যালয়ের পেশকার  সুমন মিয়ার  বিরুদ্ধে নাম জারি সংক্রান্ত বিষয়ে ইউনিয়ন নায়েবদের দিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে ! 

এছাড়া, অবৈধ বাংলা ড্রেজার দিয়ে বিল ও নদী থেকে উত্তোলিত  বালু বিক্রির  থেকে মাসোহারা  বিভিন্ন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী তফসিলদার এর মাধ্যমে নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ভুক্তভোগী জানান, পেশকার সুমন এসিল্যান্ড অফিস বাসাইলে বসে ঘুষ গ্রহণ করতে দেখা গেছে।

এজন্য স্থানীয় নায়েবদের কোনো ড্রেজার ব্যবসায়ী তোয়াক্কা করে না।

নামজারিতে ও খারিজে তথ্য সঠিক ও নির্ধারিত ফি দিলেও একমাত্র পেশকার সুমন মিয়ার নির্দেশে ঘুষ বাণিজ্য চলছে, তা না হলে নায়েবদেরও সংকটে পড়তে হয়।

বাসাইল সহকারী ভূমি কমিশনার কার্যালয় সুত্রে

জানা গেছে, দীর্ঘ ৩বছর যাবতই পেশকার সুমন মিয়া তার ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে আসছে।

জানা যায়, বাসাইল উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন ও পৌরসভাতে তার ঘুষ সিন্ডিকেট সচল রয়েছে।

দেখা গেছে, সব মিলিয়ে বাসাইলে ৩টি হেভি ড্রেজার, ৫০টির অধিক বাংলা ড্রেজার ও ৮০টির অধিক নদী ও বিলের বালুবাহী টফি ট্রাক্টর চলে আর এসব থেকে নীরব চাঁদা ও ঘুষ পান পেশকার সুমন মিয়া তার দালাল চক্র ও নায়েবদের মাধ্যমে।

বাসাইল উপজেলা প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে এই পেশকার সুমনের নীরব ঘুষবাণিজ্যে,

এছাড়া, প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রহীতারা বলে বাসাইলের সচেতন মহলের মন্তব্য।

তবে সম্প্রতি অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ীদের সাথে কেন এতো সক্ষ্যতা এ নিয়ে জনৈক গণমাধ্যমকর্মীর কাছে জবাবদিহিও করতে হয়েছে ঘুষখোর পেশকার সুমনকে।

এ ব্যাপারে পেশকার সুমন মিয়ার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীর পরিচয় জানার পর কথা না বলে লাইন কেটে দেন। 

এ ব্যাপারে বাসাইল উপজেলা ভূমি সহকারী (এসিল্যান্ড) এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে মোবাইল রিসিভ করেননি। 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *