ধনবাড়ীতে পরকিয়া জেরে ভাতিজার দায়ের কোপে চাচা খুন!

পরকিয়া প্রেমিকা আফরোজাকে কেন্দ্র করে খুন তার স্বামী শরিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে পরকিয়া জেরে ভাতিজার দায়ের কোপে মো. শরিফ উদ্দিন (৩৫) নামের চাচা খুন হয়েছেন। এই ঘটনায় ভাতিজা মো. ইদ্রিস আলীকে (৫০) উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের বানিয়াজান দক্ষিণপাড়া নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার ওই ইউনিয়নের বানিয়াজান দক্ষিণপাড়া বাবুল বাজারের এক চায়ের দোকানের পাশে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. শরিফ উদ্দিন ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। ইদ্রিস আলী একই গ্রামের মৃত করিম উদ্দিনের ছেলে এবং বানিয়াজান ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির বর্তমান সভাপতি।

 ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন হত্যাকান্ডের  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চায়ের দোকানদার হায়দার আলীসহ স্থানীয়রা বলেন, মঙ্গলবার সাড়ে ৭টার দিকে দোকানের পাশে প্রসাব করতে বসে শরিফ। হঠাৎ করে ইদ্রিস ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। এদিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইদ্রিস আলীর স্ত্রী খালেদা বেগম বলেন, ‘রাতে পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে।’

কেন এই হত্যাকান্ড বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয়দের অভিযোগ, ইতিপূর্বে তার বউয়ের সাথে নিহতের সম্পর্ক ছিল। আমরা শুনেছি। সেই কারণে এই খুন।

নিহতের মা হাজেরা বেগম বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মধুপুরে মারা যায় শরিফ। পূর্ব শত্রুতার দ্বন্ধে ইদ্রিস শরিফকে খুন করেছে। আমরা এর বিচার চাই। 

 তারা জানান, খুন হওয়া শরীফ ও ইদ্রিস সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।

শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী আফরোজা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমার অবুঝ মেয়াটার এখন কি হবে। সে আর বাবা বলে ডাকতে পারবে না বলে কান্না করতে করতে মুর্ছা যান।’

এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার দাবি করে স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন জবান বলেন, ‘এই ঘাতকের কঠোর বিচার হওয়া দরকার।’

ওসি এইচএম জসিম বলেন, ‘ঘটনার সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘাতক ইদ্রিসকে গ্রেপ্তার করে গতকাল বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই বাবুল হোসেন বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *