কালিহাতীর পঙ্গু ফুলচান মিয়াকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে যা বললো গ্রামবাসী ও ফুলচান

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের কালিহাতী
উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের বলিখন্ড গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের পুত্র ভুক্তভোগী ফুলচান মিয়াকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বলিখন্ড গ্রামের
নানা পেশাজীবী ব্যক্তিবর্গ।
মাদক কারবারিতে জড়িত থাকা ও অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার জন্য সরকারি দলের স্থানীয়
কতিপয় নেতাকে ম্যানেজ করার বিষয়ে ফুলচানকে জড়িয়ে দৈনিক যুগধারা পত্রিকা আজ ১৫জানুয়ারি মিথ্যাচার করেছে বলে বলিখন্ড গ্রামের অধিকাংশ ব্যক্তিবর্গ মন্তব্য করেন।
এছাড়া, অন্যের দেয়া মিথ্যা তথ্যে যুগধারা পত্রিকায় প্রকাশ করেছে ‘এর আগে আজ বেলা
৩টার দিকে গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে
প্রেস ব্রিফিং করে’ এটাও লেখায় ভাবার্থ ভূল প্রকাশ পেয়েছে।
এটাও লেখেছে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে ফুলচানকে পুলিশ আটক করে, কিন্তু বাস্তবিক ফুলচান আটক হওয়ার ঘটনা ঘটেনি বলে পাইকড়া ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফরমান আলী জানান।
তাছাড়া, ফুলচান মিয়াকে জড়িয়ে চুরি, ভারতীয় শাড়ী বিক্রি, মাদক কারবারি, একাধিক মামলা,
একাধিকবার আটক হওয়ার বিষয়ে আক্রমণাত্মক সংবাদ করার বিষয়ে পর্যালোচনাকালে দেখা যায় একটি বিষয়ে অভিযুক্ত ও মিথ্যা সাজানো মামলায় আসামী
ছিলেন ফুলচান। যা আদালত ফুলচানকে মামলা থেকে খালাস প্রদান করেন। কিন্তু তাকে খালাস প্রদানের তথ্য যুগধারা পত্রিকায় লেখা
মিথ্যা সংবাদে অন্তর্ভুক্ত করেনি।
নানা বিষয়ে জানতে গেলে পাইকড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জাকির হোসেন মোল্লা, পাইকড়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সেলিম রেজা, পাইকড়া ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুস ছাত্তার জানান, ফুলচানের ব্যাপারে মিথ্যা খবর লেখছে যুগধারা পত্রিকায়,
আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। ফুলচান মাদকব্যবসা করেনা। দোকান করে পেট ভাত চালায়। ২০২১ সাল থেকে ফুলচান পঙ্গু।
কোনোরকম দোকানে যেতে পারে।
এই পত্রিকায় শুনলাম মিথ্যা খবরই বেশি লেখে।
বলিখন্ড গ্রামের মাতাব্বর মিজানুর রহমান জানান, বলিখন্ড একজন দালাল আছে। নাম তার কাদের। ওর কাজই মানুষের ক্ষতি করার জন্য ঘুরাঘুরি।
ওর কোনো পেশা কর্ম নাই। ফুলচানের ব্যাপারে ওই দালালই মিথ্যা খবর লেখাইতাছে। আমরা
ওই দালালের নিপাত চাই। কোনো ভালো কর্ম করেনা। সারাদিন মোটরসাইকেল নিয়ে চলে টাকা পায় কই। বিয়ে করলো ৯জনকে। বাটপার কাদের।
মুনটিয়া গ্রামের মনির হোসেন ও শিহরাইল গ্রামের মঞ্জু জানান, কার্ড বাবদ যারা গরীবের টাকা নেয় ও মামলার দালালীতে কমিশন নেয়।
ওই চিহ্নিত ব্যক্তির ইন্দনে ফুলচানের নামে একটা পুরনো কাহিনী গল্প বানিয়ে যুগধারা পত্রিকায় লেখছে। যাতে ফুলচানের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। এটা মানুষ বুঝলেও এই যুগধারা পত্রিকার মিথ্যাবাদী রিপোর্টার বুঝেনা। এর আগে কালিহাতী জেলা পরিষদ সদস্য প্রার্থী আায়নালকে নিয়ে ভোটের জরিপে পিছিয়ে লেখছিল। অথচ বিপুল ভোটে আয়নাল হক বিজয়ী হয়। বাংড়া ইউপি নির্বাচন নিয়েও লেখেছিল নৌকার বিপক্ষে, অথচ হয়েছে নৌকার বিজয়। যুগধারা পত্রিকা মানেই মিথ্যাচার। এর আগে আজাদ সিদ্দিক যুগধারা পত্রিকার মিথ্যাবাদী সম্পাদক হাবিবকে চপেটাঘাত করেছিল বলে তারা জানান।
ফুলচানের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করায় যা বললেন- ফুলচান মিয়া জানান, ‘২০২১ থেকে পঙ্গু জীবনযাপন করছি। ২০০২-২০০৪পর্যন্ত টেম্পু কিনে চালক দিয়ে চালাইছি । গোপালগঞ্জের ঘটনায় মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছিল। ওই মামলায় আদালত আমাকে খালাস প্রদান করেছেন।
একাধিকবার গ্রেফতার হইনি। মাদকব্যবসা করিনি। তবুও আমাকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ করেছে।
তিনি আরো জানান, আমি যুগধারা পত্রিকার সম্পাদক হাবিবকে ফোনে বলেছি, আপনি আমাকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ করেছেন কেন?
পরে আমাকে বলে যে, আমি সংবাদ করেছি,
আপনার যা খুশি করেন।’